• ঢাকা
  • শুক্রবার , ৮ আগস্ট ২০২৫ , বিকাল ০৩:১০
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ

খনাখন্দে ভরা ফরিদপুর-ভাংগা-বরিশাল মহাসড়

রিপোর্টার : মীর মেহেদী হাসান, ফরিদপুর :
খনাখন্দে ভরা ফরিদপুর-ভাংগা-বরিশাল মহাসড় প্রিন্ট ভিউ

পিচ খোয়ার পরিবর্তে দেশের দ্রুত গতির সড়কটিতে বসানো হচ্ছে ইটের সলিং। হাইওয়ে সড়কে ইটের সলিং আসলেই খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জা জনক বলে মনে করেন ওই সড়কে চলাচলকারী সকলেই। তারা বলছে সড়ক সংস্কারের নামে এভাবে ইটের সলিংয়ে কি যানবাহন চলাচলে এবং জনগনের ভোগান্তি কিছুটা কমবে, নাকি এটা মরার উপর খাড়া ঘা হয়ে থাকে। 

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর জেলা শহর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়ক জুড়ে অসংখ্য বড় গর্তের কারণে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। ফলে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

সড়ক সংস্কারের নামে যেন এটিএকটি মহা ভোগান্তির আরও একটি ন্যাক্কারজনক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। মানুষ সারাজীবন দেখেছে সড়কে ইটের সলিং তুলে পিচের রাস্তা করছে। আর আজ দেশের অন্যতম ব্যস্ততম ফরিদপুর -ভাংগা-ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ৩২কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থায় সড়ক মেরামতে পিচের রাস্তায় পিচের বদলে ইটের সলিং দিয়ে চলছে এই ব্যাস্ততম সড়কের এর কাজ। ওই সড়কে চলাচলকারী সকলেইবলছে, ছাগলদিয়ে যেমন হালচাষ করা যায়না, তেমনি ইটের সলিং দিয়ে মেরামত করে হাইওয়ে সড়ক দোতলা করে কখনো উন্নয়ন হয়না। তবুও কোন শুভ চিন্তা না করেই ইট দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মহাসড়ক মেরামতের কাজ। মেরামতের কাজ করলেও পিচঢালায়ের বদলে ইটের সলিং দেয়ায় কিছুদিনের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে আসে সড়কটি। প্রতিদিন কয়েক হাজার যানচলাচলের সড়কটির দূর্দশা বেড়েই চলেছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বড় গর্তের কারণে যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি তাতে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির দ্বিগুণ সময় লাগছে।

এই মহাসড়কে প্রতিনিয়ত মেড়ামত কাজ হলেও তাতে সড়ক কোন উন্নয়ন না হলেও মেরামত কাজে ব্যয় হচ্ছে সাধারণ জনগণের টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর-ভাংগামহাসড়কের নদীগবেষনা ইনস্টিউট হতে ভাংগা পর্যন্ত পিচ আর পাথর উঠে বড়বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সকল যানবাহন এক পাশে চলাচল করায় প্রতিদিন এই মহাসড়ক দূর্ঘটনা বেড়েই চলছে। পাশাপাশি পথচারী চলাচলেও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে ইটের সলিং দিয়ে সংস্কার করলেও এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন, ট্রাকচালক ও যাত্রীরা জানান, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে বেশির ভাগ সময় গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে সাথে বাড়ছে দূঘটনার সংখ্যা। 

ফরিদপুর হতে ভাংগা-ঢাকা-বরিশালে একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে এই ফরিদপুর-ভাংগা মহাসড়ক। বিশেষ করে এই মহাসড়কটি ভাংগা হয়ে পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু সড়কটির ফরিদপুর থেকে ভাংগা পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ের পাশাপাশি তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

সারাদেশ

আরও পড়ুন