• ঢাকা
  • শুক্রবার , ৮ আগস্ট ২০২৫ , বিকাল ০৩:১২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ

উদ্বোধনের ২২ মাসেও ব্যবহার হয়নি ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ

রিপোর্টার : নিজস্ব সংবাদদাতা
উদ্বোধনের ২২ মাসেও ব্যবহার হয়নি ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ প্রিন্ট ভিউ

২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ এবং রূপপুর স্টেশন  ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রপাতি প্রকল্পের অভ্যস্তরে পৌঁছাতে এবং লোড-আনলোডের জন্য তৈরি করা হয়েছে রূপপুর রেলস্টেশন ও ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ। এছাড়াও ঈশ্বরদী ইপিজেডে এর মালামাল এই রেলপথে পরিবহণের কথাও সেসময় বলা হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। উদ্বোধনের ১ বছর ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এক ছটাক পণ্য পরিবাহিত হয়নি এই রেলপথে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মিত রূপপুর স্টেশনটি বর্তমানে ‘ওয়াগন ইয়ার্ড’ হিসেবে এবং রেল কর্তৃপক্ষের মালপত্র রাখার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদী ও সড়কপথে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন মালপত্র ও ভারী যন্ত্রাংশ রূপপুর প্রকল্পে আনা হয় বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রেল কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলে কর্মযজ্ঞ। প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হতে ঈশ্বরদী হয়ে রূপপুর পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেলপথ ও রূপপুর নামে একটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ১৩টি লেভেল ক্রসিং, ৭টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য কম্পিউটার বেইজ কালার লাইট সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়। 

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা উদ্বোধনের সময় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রূপপুর স্টেশন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। এটি শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালপত্র ও ভারী যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। পাশাপাশি ঈশ্বরদী ইপিজেড এর মালামালও এই স্টেশন থেকে পরিবহণ করা হবে।


সারাদেশ

আরও পড়ুন